
আগামী জুন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমার ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হবে। ১০ থেকে ১২ মাস সময় পরে এই উন্নতি লক্ষনীয়ভাবে সাধারন মানুষের মনে হবে। মূল্যস্ফীতির ব্যাপারে আশাবাদী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেছেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপগুলো কার্যকর হচ্ছে না বলে সমালোচনা শুনেছি। বাস্তবে কার্যকর হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতেও এসব পদক্ষেপ নেওয়ার পর সুফল পেতে সময় লাগে।’
আজ বুধবার ‘ডিজিটাল লেনদেনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা: প্রেক্ষিত ভ্যাট বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী প্রশাসন ও করনীতি আলাদা করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গভর্নর বলেন, এটা হওয়ার পর সারা বছর নীতি নিয়ে কাজ করা সম্ভব হবে।
ব্যাংকে টাকা রাখলে তিন হাজার টাকা গ্রাহক থেকে কেন কেটে রাখা হবে- এমন প্রশ্ন তুলে এনবিআর চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে গভর্নর বলেন, এই টাকা কাটার জন্য ব্যাংকে আমানত রাখতে মানুষকে নিরুৎসাহিত করে।
গভর্নর বলেন, মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং, যাই বলি না কেন- একে জনপ্রিয় করতে স্মার্টফোন সস্তা করতে হবে। ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের ব্যবহারকারী বাড়লে করও বাড়বে।
অনলাইনে কর ও শুল্ক দেওয়ার ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দিয়ে গভর্নর বলেন, এটা না করা গেলে রাজস্ব ব্যবস্থায় দুর্নীতি কমানো সম্ভব হবে না।
কয়েক বছর আগে তাঁর নিজের গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) রিটার্ন দাখিলের সময় এর ব্যবস্থাপককে ডেকে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন গভর্নর। তিনি বলেন, কর কর্মকর্তারা অবাধ ক্ষমতার অধিকারী। অবাধ ক্ষমতা দুর্নীতি বাড়িয়ে দেয়।
গভর্নর মনে করেন, পণ্য আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রি পর্যন্ত ১০ শতাংশের বেশি ভ্যাট নেওয়া উচিত নয়।