
আজ (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জুলাই বিপ্লবে শহিদ পরিবারের সদস্যরা। তাদেরকে সহায়তা না করা এবং জুলাই বিপ্লবে নিহতদের বিচার না করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্তত ২০টি শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে শহীদ ব্যক্তিদের কারও মা, কারও বাবা, কারও সন্তান, কারও ভাই, কারও স্ত্রী বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁদের একজন বীথি খাতুন। তাঁর স্বামী হাফিজুর রহমান ৫ আগস্ট আগারগাঁও এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। ১৬ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। বীথি খাতুন সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘শহীদদের পরিবারের দাবি যদি মেনে না নেওয়া হয়, তবে আমাদেরও মেরে ফেলুন। আমাদের এখন বাঁচার কোনো দরকার নাই।’
নিজেদের অসহায়তা তুলে ধরে বীথি খাতুন বলেন, ‘আমার বাচ্চা তো আমাকেই বলে, মা আমি ভাত খাব। মা আমাকে এটা দাও। বাড়িওয়ালা তো আমাদের বলে না এক মাসের ভাড়া দিয়ো না। সরকার যদি আমাদের দাবি না মেনে নেয়, তবে সকল শহীদ পরিবারকেই একেবারে শহীদ করে দিক। আমাদের মেরে ফেলা হোক, আমার বাচ্চাদেরও..তাহলে আমরা সবাই শহীদ হয়ে যাব। কেউ তাদের কাছে দাবি জানাইতে পারবে না। রাস্তায় এসে বসে থাকবে না।’
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত ইমাম হাসানের (তাইম) ভাই রবিউল আউয়াল। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভাই হত্যার বিচার চেয়ে ছয় মাস ধরে তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ঘুরছেন। কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না। হাসিনা সরকারের পতনের ছয় মাস পরও শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
