
: বাগমারায় নিজের ক্ষমতা বলে একই স্কীমে অবৈধভাবে গভীর নলকূপ স্থাপনের অভিযোগ তুলে জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্টু নামে ব্যক্তির বিরুদ্ধে শনিবার বিকেলে মানববন্ধন করেন সুজনপালশা ও বাইগাছা এলাকার কৃষকগন। উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের সুজনপালশা গ্রামে রাস্তার উপর এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে করে উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রতিপক্ষের মধ্যে। জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্টু উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের সুজনপালশা গ্রামের মৃত আঃ খালেক এর ছেলে। উপজেলা প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সে গভীর নলকূপটি স্থাপন করে। জানা যায়, উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের সুজনপালশা গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম সরদার দিগর ২০১২ সালে উপজেলা সেচ কমিটি থেকে লাইসেন্স নিয়ে সুজনপালশা মৌজায় গভীর নলকূপ স্থাপন করে কৃষি জমিতে সেচ প্রদান করে আসছেন। তার প্রতিবেশী প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্টু উপজেলা সেচ কমিটির লাইসেন্স ছাড়াই পেশি শক্তির মাধ্যমে রেজাউল করিম সরদার দিগর এর গভীর নলকূপ থেকে মাত্র ৫০০ ফিট দূরে অবৈধভাবে নলকূপ স্থাপন করে এবং তার ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন এর ইটভাটা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ করতে চেষ্টা করছে।
রেজাউল করিম ও নুরুল ইসলাম বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সুজন পালশা গ্রামের রেজাউল করিম সরদার, শহিদুল ইসলাম, আজাদ হোসেন, নুরুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন সরদার,মনসুর হোসেন, সারোয়াজ জাহান সবুর প্রমূখ।
এসময় রেজাউল করিম সরদার বলেন আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগের পর থেকেই জাহাঙ্গীর আলম মন্টু ও তার পেটুয়া বাহিনী আমাদেরকে নানাভাবে ভয়-ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
আমরা বাঁধা দিলেও আমাদেরকে পেশি শক্তির মাধ্যমে দমিয়ে রাখেন। প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী হওয়ায় টাকা দিয়ে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে।
বাগমারা উপজেলা বিএমডিএ এর সহকারি প্রকৌশলী ফারুক হোসেন জানান জাহাঙ্গীর আলমের নামে গভীর নলকূপের কোন বৈধ লাইসেন্স নেই এবং তাদের গভীর নলকুপ স্থাপন না করার জন্য চিঠি করেছি।