
অবশেষে দিল্লি পেলো নতুন মুখ্যমন্ত্রী- রেখা গুপ্তা। বুধবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭.৩০ -এর পর বিজেপির বৈঠকে এই নাম ঘোষিত হলো। ৮ ফেব্রুয়ারি ফল ঘোষণার পর থেকেই ভারতের রাজধানী দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হতে চলেছেন সেই নিয়ে চলছিলো নানা বিশ্লেষণ।
তবে এই চূড়ান্ত নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে আর.এস.এস-এর প্রভাব যে থেকেই যাচ্ছে তা স্পষ্ট। ডেপুটি চিফ মিনিষ্টার হলেন প্রবেশ ভার্মা এবং স্পিকার পদে নির্বাচিত হলেন বিজেন্দ্র গুপ্তা। কেন্দ্রীয় মন্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এর নেতৃত্বে বিজেপির ৪৮ জন বিধায়ককে নিয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। মুখ্যমন্ত্রী নাম ঘোষণার আগে সমস্ত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও বাইরে থাকার অনুরোধ জানানো হয়। বৈঠকে সমস্ত বিধায়কের মোবাইল বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়। রেখা গুপ্তা হবেন দিল্লির চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিশাল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিজেপি নেতারা, মন্ত্রীরা এবং দলের সহযোগী দলগুলোর নেতারা। ২৭ বছর পর দিল্লিতে বিজেপির ক্ষমতায় ফেরাকে স্মরণীয় করে তোলার জন্য বড়সড় পরিকল্পনা চলছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল ৪.৩০ টায়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে রামলিলা ময়দানের মঞ্চে এক বর্ণময় সঙ্গীত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে গায়ক কৈলাস খের পারফর্ম করবেন।
দেশের ২০টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীরা এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দিল্লি নির্বাচনে প্রচার চালানো বিজেপি নেতা-কর্মী এবং অন্যান্য রাজ্যের নেতা-কর্মীরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও ৫০ জনেরও বেশি চলচ্চিত্র তারকা এবং শিল্পপতিরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। দিল্লির কৃষক, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগী এবং সাধারণ জনগণকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের কারণে প্রথমে সিদ্ধান্তে বিলম্ব হয়েছিল। তবে তিনি ফিরে আসার দুই দিন পরেও কোনো ঘোষণা না হওয়ায় উত্তেজনা বেড়েছিলো। তবে মুখ্যমন্ত্রী শপথ গ্রহণের একদিন আগে নাম চূড়ান্ত করার বিষয়ে বিরোধীরা কিছু প্রশ্ন তুলছেন। আর.এস.এস-এর সিল মোহরের অপেক্ষায় ছিলো বিজেপি দপ্তর। বুধবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭.৩০-এ এলো রেখা গুপ্তার নাম।
এই মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দিল্লিতে বিজেপি বিশাল জয়লাভ করে, বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি জয় করে এবং আম-আদমি পার্টি ২২টি আসনে।