ফরিদপুরে মামলার বাদীকে কুপিয়ে জখম

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায় মামলা করায় বাদী হাসান গাজীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম ও দুই পা ভেঙে কয়েক খণ্ড করেছে আসামীরা।

২০ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোর ৬টায় বিদ্যাধর গ্রামে মামলার প্রধান আসামী সৈয়দ হাবিব এর নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন নিয়ে বাদী হাসান গাজীর বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও মারধরের ঘটনা ঘটে। বাদীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে জামায়াত ইসলামীর আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও কাজী আমেনা ওয়াহেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহাবুদ্দিন শরীফের উপর হামলা চালিয়ে তার ডান পা ভেঙে দেয় আসামীরা।

হামলায় আহত বাদী হাসান গাজী(৪৪), তার স্ত্রী আলেয়া বেগম(৪০), শাহাবুদ্দিন(৪৫) ও মাহাবুব শেখ (৩৪)-কে কাশিয়ানী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে বাদী হাসান গাজীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর পাঁচশত বেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম থানার একটি টিমসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। হাসপাতাল থেকে শাহাবুদ্দিন বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি আসামীরা বাদী হাসানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করলে হাসান গাজী থানায় মামলা করে। মামলা নং- ১১, তাং-১৫-২-২৫ইং। সেই মামলার জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে। প্রধান আসামী সৈয়দ হাবিবের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায় নাই।
আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল বলেন, আমি দুপুরে শুনেছি বিদ্যাধর গ্রামে মারামারি হয়েছে। গ্রামের দুই গ্রুপের লোকজনকে নিয়ে পূর্বে মীমাংসার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারি নাই।


খবর পেয়ে জামায়াত ইসলামীর আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মো. আকতার হোসেন কাশিয়ানী সরকারি হাসপাতালে দেখতে যান আহত ওয়ার্ড সভাপতি শাহাবুদ্দিনকে। তিনি বলেন, উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবগত করেছি, তারা একটা সিদ্ধান্ত নিবেন।

জানতে চাইলে থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।