ফরিদপুরের ১৩ গ্রামে রোজা শুরু একদিন আগেই

ফরিদপুরে ১৩ গ্রামে আজ থেকে আগাম রোজা রাখছেন রোজাদাররা। দেশের সরকারি নিয়ম বা প্রচলিত রীতি না মেনে আরব বিশ্বের অনেক দেশের সাথে মিল রেখে তারা পালন করেন রোজা ও ঈদ। একদিন আগে যারা রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন তারা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার প্রায় ১৩ গ্রামে শনিবার (১ মার্চ) থেকে রোজা শুরু হয়েছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন তারা।

শনিবার (১ মার্চ) ভোরে সেহরির শেষ সময় ছিল ৫টা, ইফতারির সময় ৬ টা ৩ মিনিট,তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হবে রাত ৮ টায়। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সৌদি আরবে আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁদের খোঁজ শুরু হয়। পরে রাতে চাঁদ দেখার খবরটি নিশ্চিত হওয়া যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি গ্রামের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন। সে মোতাবেক একদিন আগেই ওই গ্রামগুলোর অধিকাংশ লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহিদুল হক বলেন, শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের সহস্রাইল, দড়ি সহস্রাইল, ভুলবাড়িয়া, বারাংকুলা, বড়গাঁ, মাইটকুমড়া, গঙ্গানন্দপুর, রাখালতলী, কাটাগড়, কলিমাঝি, বন্ডপাশা, জয়দেবপুর ও দিঘীরপাড় গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আগাম রোজা পালন শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল দায়রা ঘর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. সাইফুল্লাহ বলেন, শেখর ও পার্শ্ববর্তী রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি গ্রামের আংশিক মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা ও দুইটি ঈদ উদযাপন করে আসছেন।