আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাইফুল ইসলাম নিজামের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে এক সংবাদ সম্মেলন করেন মিরপুর নিবাসী মোহাম্মদ বাইজিদ হোসাইন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি এবং আমার ব্যবসায়ী অংশিদাররা মিরপুর ইস্টার্ন হাইজিং ২য় পর্ব এলাকার ব্লক এন, রোড ৩, প্লট নং ৯১ ক্রয় করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে ভোগদখল করে আসছি। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পিতা জামাল হোসেন এবং সাইফুল ইসলাম নিজাম সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের জমিটি দখলের পায়তারা করেন।
ঘটনা জানতে পেরে আমি ৯৯৯ লাইনে ফোন দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য চাই। এতে পল্লবী থানার পুলিশ সদস্য মো. আবু সামাদ ও সেনাবাহীনির টহল টিম ক্যাপ্টেন শাহাদাৎ ও কর্নেল জাকারিয়া ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
কর্নেল জাকারিয়া নির্দেশনা দিয়ে বলেন, যেহেতু এই জমিতে মামলা চলমান রয়েছে। তাই আদেশ না আসা পর্যন্ত এখানে কেউ ঝুট-ঝামেলা সৃষ্টি করবেন না বলে তিনি চলে যান।
পরবর্তীতে মো জাহাঙ্গীর হোসেন ২ মার্চ ২০২৫ তারিখে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন যে, আমি নাকি রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং তিনি নাকি আমাদের উল্লেখিত জমিটিতে দখলে ছিলেন।
প্রকৃতপক্ষে মো জাহাঙ্গীর হোসেন কখনোই আমাদের জমিটিতে দখলে ছিলেন না। ইস্টার্ন হাউজিংয়ের পল্লবীর ২য় পর্বের লে-আউটভুক্ত জমিটি আমি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের কাছ থেকেই কিনেছি এবং জমিটি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দখলেই ছিল। যা ক্রয়সূত্রে এখন আমাদের দখলে রয়েছে।
মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমি আরও বলতে চাই, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নই। আমি ছোটখাটো ব্যবসায়ী, ব্যাবসার প্রয়োজনেই সকলের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রেখেই ব্যাবসা পরিচালনা করতে হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মো জাহাঙ্গীর হোসেন যে নামজারি থাকার দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে মিরপুর ভূমি অফিসে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের অভিযোগের পরিপেক্ষিতে সৃষ্ট একটি মিস-কেসের শুনানি অব্যাহত রয়েছে। অচিরেই রায় পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, নূরজাহান বেগম নামের এক নারীর কাছ থেকে ২০১৮ সালে জমি ক্রয়ের দাবি করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, জমির খতিয়ানে যে নূরজাহান বেগমের নাম আছে তিনি ২০০৫ সালে মৃত্যবরণ করেছেন। মো. জাহাঙ্গীর হোসেন যে নূরজাহান বেগমের কাছ থেকে জমি কিনেছেন বলে দাবি করেছেন তার এনআইডির তথ্যের সঙ্গে প্রকৃত নূরজাহান বেগমের কোনো মিল নেই। সিআইডির রিপোর্টেও তা প্রমাণ হয়েছে।
আমি জানতে পেরেছি, নামজারি বহাল পেতে মো জাহাঙ্গীর হোসেন মিরপুর ভূমি অফিসের কানোনগো আব্দুল বাতেন সাহেবকে ম্যানেজ করেছেন।
মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে আমার ব্যাক্তিগত কোনো শত্রুতা নেই কারণ আমি জমি ক্রয় করেছি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের নিকট থেকে। তার (জাহাঙ্গীর হোসেন) চাওয়া পাওয়া থাকলে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। জাহাঙ্গীর হোসেনের জমির কগজপত্র সঠিক হলে আমি নিজে তার জন্য ইস্টার্ন হাউজিং কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করব বলেও প্রস্তাব দিয়েছিলাম।
আমার জানামতে, ইস্টার্ন হাউজিং একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান। তারা মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে। ইস্টার্ন হাউজিং ১৯০/২০২৪ রিভিউ মামলা ও দলিল বাতিলের মামলা দায়ের করেছে। প্রয়োজনে কোম্পানি আমার প্লট চেঞ্জ করে দেবে, এতে আমার সমস্যা নেই। আমি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়েছি বিদায়, আমার সঙ্গে শত্রুতা শুরু করেছেন।
বর্তমানে জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাইফুল ইসলাম নিজামের নামে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-২০, (সিএমএম আদালত ঢাকা) মামলা আছে। সিআর মামলা (পল্লবী) নং ৬৯৪/২০২৪, ধারাঃ ভূমি অপারাধ। এই অবস্থায় তিনি কোনো জমি দখল করতে না পারায় আমার নামে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেছে।