প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস সাহেব পরিচয় করালো নতুন এক কূটনীতির। যেটার নাম টুপি-পাঞ্জাবির রাজনীতি এবং ‘ইফতারি কূটনীতি’।
অবাক হলাম উনার ধার্মিক পোশাকের প্রদর্শন দেখে। জাতিসংঘের লিস্টেড দেশ আছে ১৯৪টা। জাতিসংঘের মহাসচিব যেখানে যাবে, এই ১৯৪ টা দেশ সেটার খবর রাখে। সেসব দেশ নিউজ করতে বাধ্য হয়। আমিরিকা থেকে দক্ষিণ সুদান পর্যন্ত।
ইউনুস কৌশলে গুতেরেসকে পাঞ্জাবি আর টুপি পরিয়ে হাজির করেন ১ লাখ রোহিঙ্গার সামনে। নিজেও টুপি পরিধান করে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে কঠিন এক অবস্থান।
যেখানে মুসলিম শাসকরা ভয়ে ইসলামের লেবাস পরিহার করে পশ্চিমা দেখলে, সেখানে ইউনূস টুপি মাথায় হাজির। শুধু তাই না। তিনি আঞ্চলিক ভাষায় ঘোষণা দিলেন, আগামী ঈদ যেন নিজের এলাকায় কাটাতে পারে রোহিঙ্গারা এবং উনাকেও যেন দাওয়াত দেয়। খেয়াল রাখবেন উনার পাশে কিন্তু গুতেরেস বসে-বসে শুনতেছেন।
এই খবর ১৯৪টা দেশে প্রচারিত হয়েছে। আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প গুতেরেসের কার্যক্রমের খবর রাখছেন।
ক্ষমতা নেওয়ার পর ইউনুস সাহেব বলেছিলেন, ‘এসেই আমরা কেন যাব? সবাই আসবে আমাদের কাছে।’
কথাটা যেন সত্যি হচ্ছে। গুতেরেস আসছে, ইলন মাস্ক আসার সম্ভাবনা আছে, সৌদি আরবের আরামকো আসতেছে। -এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশের প্রতিনিধিরা এসেছেন।
ইফতারিকে কাজে লাগিয়ে বিশাল এক বার্তা দিলেন। প্লেকার্ড সেট করেছে স্ট্র্যাটেজিক লোকেশনে। যাতে মিডিয়া যেভাবেই প্রচার করুক প্লেকার্ড চোখে পড়ে।
এইযে আওয়ামী ন্যারেটিভ উড়িয়ে দিবেন এইভাবে, আমরা ভাবতে পারি নাই। এরকম একজন ক্যারিশমাটিক লিডার আর বাংলাদেশে আসবে কি?
গত ২৬ বছর আমি রমজানের বাজার করে আসছি, দ্রব্যের দাম এবারের মতোন কমে নাই আগে। রমজানের ৪ মাস আগের সাথে তুলনা করলে এখন মূল্যস্ফীতি চাপ কমেছে।
ক্যাপিটাল মার্কেট যেটা রাষ্ট্রের অর্থনীতির মেরুদণ্ড সেটা ঠিক হওয়া শুরু করছে। বন্ডে সুদের হার ১০.৫ শতাংশে নেমেছে, যাহা আগে ১৫ শতাংশ ছিলো। তারমানে ইনফ্লেশন কমতেছে।
যদি ইনফ্লেশন বাড়ে, বন্ডে সুদের হার বাড়িয়ে দেয় সরকার। শেয়ার মার্কেট ভালো থাকে না। যেমন হাসিনার আমলে শেয়ার মার্কেটের জন্য গায়ে আগুন ঢেলে অনেকে আত্মহত্যা করেছে।
দেশে এই পর্যন্ত নির্বাচন হইছে ১০ বার। আবারও নির্বাচন হবে, এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। নির্বাচন দরকার।
কিন্তু ইউনূস সাহেব দেশটাকে একটা ব্লু প্রিন্ট দিয়ে যাক, যাতে সেটার উপর নির্বাচিত সরকার চলতে বাধ্য হয়। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তো তৈরির পথ দেখিয়ে দিয়ে যাক জাতিকে।
জয় হোক ইউনূসের, জয় হোক বাংলাদেশের।