ফরিদপুরের সালথায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৭ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৪ই মার্চ রাতে ধর্ষিতার নিজ বাড়িতে ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সোহেল রানা (২২) ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের পুত্র। এই বিষয়ে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সোমবার (১৭ই মার্চ) সালথা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি (১৩) স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী। মেয়েটির মা প্রবাশে থাকে এবং বাবা ও ভাই কাজের জন্য বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকে। প্রায় দুমাস পূর্বে মেয়েটি তার ভাবির সাথে অভিযুক্ত সোহেলের বাড়ির পাশে ভাবির বাবার বাড়ি বেড়াতে গেল, সেখানে সোহেলের সাথে পরিচয় হয়। এরপরই সোহেলের কুনজরে পড়ে মেয়েটি, সোহেল কৌশলে মেয়েটির ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। এরপর বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ১৪ই মার্চ রাতে মেয়েটি বাড়িতে একা ছিলো। সোহেল বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েটির বাড়িতে যায় এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ করেন।

স্কুল শিক্ষার্থীর ভাবি জানান, সোহেলের বাড়ি আমাদের বাড়ির পাশেই, তবে সম্পর্কের বিষয়ে কিছুই জানতাম না। সোহেল খারাপ প্রকৃতির ছেলে, এর আগে কয়েকটা মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। আমি সোহেলের কঠিন বিচার চাই যাতে সে আর কোন মেয়ের সাথে অন্যায় করতে না পারে।
ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা জানান, এই ঘটনা জানাজানি হবার পর আমার মেয়ে কয়েকদফা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আমি মামলা করায় সোহেল ও তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে। তাছাড়া আমাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলেও জানতে পেরেছি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় ও পুলিশ সুপার মহোদয় সহ সকলের কাছে এই ঘটনার বিচার চাই এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।
এই বিষয়ে জানতে সোহেল রানার বাড়িতে খোঁজ খবর নিলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায় নাই। সোহেলের ব্যবহৃত ফোন নাম্বারও বন্ধ পাওয়া যায়।
সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, এই বিষয়ে ওই দিনই ধর্ষণের মামলা রজু করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা ও বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি সম্পন্ন হয়েছে। আসামিকে আটকের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।