ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ১০ গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।
আজ রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল দায়রা শরিফে ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টা, ৯টা ও সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
একদিন আগে যারা রোজা ও ঈদ উৎসব উদযাপন করেন তাঁরা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান।

জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন। তাই অন্য এলাকার একদিন আগে ১০ গ্রামের লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন। এছাড়া আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ধলেরচর গ্রামের কিছু মানুষ একই সাথে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের
সহস্রাইল দায়রা শরিফে সকাল সাড়ে ১০টায় কয়েকশ মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এছাড়া রাখালতলী ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৯টা ও মাইটকুমরা জামে মসজিদে সকাল ৮টা ও মাইটকুমরা লস্করবাড়ি জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়।
আলফাডাঙ্গা ধলেরচর গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমাদের ধলেরচর মাদ্রাসায় ঈদের নামাজ আদায় করতাম। কিন্তু আমাদের ইমাম মারা যাওয়ার পর থেকে সহস্রাইল দায়রা শরিফে এসে আমরা কিছু লোকজন নামাজ পড়ি।
সহস্রাইল দায়রা শরিফের সমন্বয়কারী কাটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক জানান, চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফ ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকুমড়া, রাখালতলী গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের আংশিক লোকজন আমরা একদিন আগে রোজা শুরু করেছিলাম। আবার সৌদির সাথে নামাজ আদায় করলাম।
এ ব্যাপারে শেখর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইস্রাফিল মোল্লা বলেন, ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ দীর্ঘদিন যাবত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা ও দুইটি ঈদ উদযাপন করেন। তারা চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান। শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদসহ ৪টি জামায়াতে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।