মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের ভারত সফর শেষ হলো। দিল্লিতে রাইসিনা সংলাপে নিজের মত বিনিময় করলেন গ্যাবার্ড। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রয়েছে তার সুন্দর সম্পর্ক। এদিন তিনি দিল্লির রাইসিনা ডায়লগে ভাষণ দেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। গ্যাবার্ড আগেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে দেখা করেন। তখনই রাজনাথ সিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ খালিস্তানি সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস-এর ভারত বিরোধী কার্যকলাপের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সূত্রের খবর অনুসারে ভারত তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালককে অবৈধ সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলে। তারা দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগির মূল দিকগুলি নিয়েও আলোচনা করেন। ভারত এসএফজেকে একটি বেআইনি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সূত্রমতে, ভারত তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালককে এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই বছর ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন সফরে যান। সেই সময়ই প্রধান মন্ত্রী তুলসীকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তখনো মোদী দেখা করেছিলেন তুলসী গ্যাবার্ডের সঙ্গে। মার্কিন কূটনীতিবিদ তখনই মোদীকে ভারত-মার্কিন বন্ধুত্বের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। গ্যাবার্ড অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সামির সরণের সাথে মূল আলোচনায় অংশ নেন। রাইসিনা ডায়ালগের ২০২৫ সালের থিম হচ্ছে “কালচক্র–মানুষ, শান্তি এবং পৃথিবী।” এই সম্মেলনে বিশ্বের ১২৫টিরও বেশি দেশ থেকে প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে আছেন মন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতি, সরকার প্রধান, সামরিক কমান্ডার, শিল্পপতি, প্রযুক্তি নেতারা, পণ্ডিত, সাংবাদিক, কৌশলগত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং যুব নেতারা। ভারত সফর শেষে তিনি যাবেন জাপান ও সেখান থেকে ফ্রান্সে পৌঁছাবেন। সূত্রের খবর, অজিত দোভালের সঙ্গে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে। ভারতে রওয়ানা দেওয়ার আগে এক্স হ্যান্ডেলে তুলসি লিখেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের লক্ষ্যপূরণই হবে তার এই সফরের উদ্দেশ্য।” এই পোস্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কয়েকটি দেশে সফরের অংশ হিসেবে তুলসি গ্যাবার্ড ভারতে এসেছিলেন
