দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসন, জুলুম, নিপীড়ন ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ জুলাই ২৪ অভ্যুত্থানে ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে দলে দলে মানুষ রাস্তায় নেমে আসে, যা পরবর্তীতে স্বৈরাচার হটাও আন্দোলনে রুপ নেয়।
অসংখ্য মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আসে সফলতা। সুযোগ আসে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তো তৈরি করার। সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে জেনারেল ওয়াকার সে পথকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
আন্দোলনের সমন্বয়কসহ নেতৃত্ব দানকারী সংশ্লিষ্ট সবাই এক বাক্যে স্বীকার করে যে, জেনারেল ওয়াকার উজ্জামান এর অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নাই।জেনারেল ওয়াকার উজ্জামান হচ্ছেন শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট আত্মীয়, তবু্ও তিনি ছাত্র-জনতার পক্ষে ছিলেন।
নিঃসন্দেহে ২৪ –এর ৩রা আগস্ট থেকে ৫ই আগস্ট সেনা প্রধানের বিচক্ষণতা ও কৌশলী সিদ্ধান্তের কারণে অধিকতর প্রানহানি এবং রক্তপাত ছাড়াইএই আন্দোলন সফল ও পরিপূর্ণতা লাভ করে।
ওয়াকার একজন মানবিক, চৌকস, দক্ষ ও ন্যায়পরায়ণ সেনা অফিসার। তাকে বিতর্কিত করা যাবে না। সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করা থেকে বিরত রাখা আমাদের জন্য কল্যাণের।