ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিনের ছেলে এখন যুবদল করে

দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও বিএনপির নেতাকর্মীর উপর হামলা এবং জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে জেল-জুলুম ও নির্যাতনের অভিযোগে পলাতক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন চৌধুরী এর বড় ছেলে আবু বকর সোহাগ এখন যুবদলের নেতা। বাবার অবৈধ আয় করা টাকা এখন খরচ করে, এলাকার কিছু সংখ্যক বিএনপির নেতাকে ম্যানেজ করে যুব দলের রাজনীতি করছে সোহাগ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাটখিল উপজেলার ছোবহানপুর ওয়ার্ডের আব্দুল মতিন গত ১৫ বছরে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। জামায়াত ও বিএনপির একাধিক নেতাকে রক্তাক্ত করেছে এই আব্দুল মতিন। ২ নং রামনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে চাটখিল উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক লিয়াকত আলী ভুট্ট সাহেবকে জানুয়ারি, ২০২৪ -এ ছোবহানপুর বাজারে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে আব্দুল মতিন।

এর পূর্বে সে নিজের হাতে পালের বাড়ির দুলালকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে এলাকায় থাকতে দেয় নাই। যে কর্মী এলাকায় এসেছে তাকেই পিটিয়ে পুলিশ দিয়ে জেলে দিয়েছে।

আরও জানা গেছে, এলাকায় বিচারের নামে মানুষ থেকে হাজার হাজার টাকা নিয়েছে আব্দুল মতিন।সে ২০১২ সালে ও ২০১৪ সালে এলাকার শিবেরের একাধিক কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। গাছ কাটার মিথ্যা মামলা দিয়েছে এবং বিভিন্ন হত্যা মামলার আসামি করেছে এলাকার নেতাকর্মীদের। বিএনপির অনেক নেতাকর্মীদের এলাকায় থাকতে দেয় নাই, হামলা ও মামলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেছে। সে অনেক প্রবাসীর কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে।

তার ছেলে সোহাগ অস্রহাতে বাজারে মহড়া দিতো এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাচ্ছু ও কবিরের সাথে গ্রুপ করে এলাকায় ত্রাসের রাজনীতি করেছে। পাঁচঘরিয়ার আবু ড্রাইভারের ছেলে লাভলুকে গুলি করে হত্যা করার মামলায় সোহাগ জেল খেটে এখন জামিনে আছে। নাম না বলার স্বত্তে অনেক ভুক্তভোগী এবং এলাকার বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মী তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন সোহাগের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীরা দাবি জানিয়েছেন, সোহাগ যেন যুবদলের রাজনীতি না করতে পারে।