
গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এখন থেকে বিচারক নিয়োগ হবে কাউন্সিলের মাধ্যমে। এটার নাম হবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল।
হাইকোর্টে বিচারক পদে নিয়োগ এই কাউন্সিলের অধীনে হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা। বিচারকদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় এবং স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগের কথা জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর গেজেট জারির কথা জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে একটি কাউন্সিল গঠন করার বিধান করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের দুজন বিচারক (একজন অবসরপ্রাপ্ত ও একজন কর্মরত), হাইকোর্টের দুজন বিচারক, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান (প্রধান বিচারপতি) মনোনীত একজন আইনের অধ্যাপক বা আইন বিশেষজ্ঞ।
কিভাবে এই কাউন্সিলের মাধ্যমে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ দেওয়া হবে, সে প্রক্রিয়ার কথাও বলেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, এই কাউন্সিল নিজ উদ্যোগে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম সংগ্রহ করবে। একই সঙ্গে যেকোনো মানুষ, যেকোনো আইনজীবী যাতে নিজের ইচ্ছায় আবেদন বা কারও নাম প্রস্তাব করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা আছে। এই কাউন্সিল প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করার পর সাক্ষাৎকার নেবে। এরপর বিচারক প্রার্থী চূড়ান্ত করে সুপারিশ করবেন।
তবে বিচারক নিয়োগ নিয়ে নিম্ন আদালতের ৫০ শতাংশ এবং হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী থেকে ৫০ শতাংশ নিয়োগের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করা হয় নাই। এটা কাউন্সিলের উপর ছেড়ে দিয়েছেন বলে আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতির উপর আমাদের বিশ্বাস আছে, তিনি বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবেন।
হাইকোর্টে বিচারক পদে পরবর্তী নিয়োগ এই প্রক্রিয়ায় দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আইন উপদেষ্টা।