
ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নিয়ে কেউ রাজনৈতিক দল গঠন করলে, সেটি জনগণকে হতাশ করবে। অতীত থেকে বেরিয়ে এসে তরুণেরা নতুন ধারা তৈরি করবে। তবে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথ নয়। পথটি অবশ্যই স্বচ্ছ হওয়া উচিত।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এই সমাবেশে যুক্ত হন।
তারেক রহমান বলেন, দেশের ছাত্র-তরুণেরা রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, এটি অবশ্যই ইতিবাচক দিক। এই তরুণরাই গত দেড় দশকে নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকারবঞ্চিত এসব তরুণের কেউ যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করে, বিএনপি সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়।
তবে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ কিংবা বক্তব্য–মন্তব্য যদি ঝগড়াসুলভ অথবা প্রতিহিংসামূলক হয়, সেটিও জনগণের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত হবে।
সংবিধানে মহান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি বলেও মনে করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, পলাতক যে স্বৈরাচার, তারা তাদের ইচ্ছেমতো সেটিকে কাটাছেঁড়া করে রাষ্ট্রীয় সংবিধানকে প্রায় দলীয় সংবিধানে রূপ দিয়েছে। ঠিক একইভাবে নির্বাচন কমিশন কিংবা দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তারা একদম অকার্যকর করে দিয়েছিল। দুদক সম্পর্কে তারা নিজেরাই দন্তহীন বাঘ বলেছে।’
নির্বাচন কমিশন, দুদক এবং সংবিধানসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, বিএনপি ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচিও একই রকম বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের সঙ্গে দু-একটি মৌলিক বিষয় ছাড়া, প্রক্রিয়াগত বিষয় ছাড়া তেমন কোনো ভিন্নমত বা বিরোধ নেই। সংস্কার এবং নির্বাচন—দুটিরই পক্ষে বিএনপি, দুটোই অত্যন্ত জরুরি। সংস্কার নাকি নির্বাচন—কেউ কেউ এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রশ্ন তুলে কূটতর্ক করার অপচেষ্টা করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কোনো বিষয়ে ভুল–বোঝাবুঝি কিংবা অযথা কূটতর্ক সময়ের অপচয় বলে মনে করেন তারেক রহমান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ যদি বৃহত্তর স্বার্থে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা ধৈর্য ধরে মেনে নিতে পারে, তাহলে যাঁরা সরকারে রয়েছেন তাঁদের ধৈর্য এবং সহনশীলতা আরও অনেক বেশি থাকা জরুরি। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করার অর্থ নিজের অজান্তে পরাজিত ও পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করা।