
গত ৫ই আগষ্টের ঘটনা। অসহায় সাইদুর রহমানের বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ভষ্মীভূত করে দেয় প্রতিবেশীর লোকজন। যেন দেখার কেউ নেই। মানুষ মানুষের জন্য হলেও বাস্তবে তার উল্টো। এগিয়ে আসেনি কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি। এমন ঘটনা ঘটেছে নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউপির পাকুড়িয়া গ্রামে।
জনাগেছে, ভূক্তভোগী সাইদুর রহমান উপজেলার ভারশোঁ ইউপির পাকুড়িয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত হযরত আলী মোল্যার ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার প্রতিবেশী শামসুদ্দিন লালু (৪৫), দুলাল হোসেন (৪৮), ছহিম আলী (৫০), মহিম হোসেন (৫৫), সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল ও উৎরাইল গ্রামের ইমন হোসেন (২৫)।
ভুক্তভোগী পরিবার জানান,
আগুন দিয়ে বাড়ি, পুড়িয়েই ক্ষান্ত হননি প্রতিবেশীর লোকজন। বাড়ি পড়িয়ে, আসবাবপত্র ও পোড়া টিন তারা বাজারে বিক্রি করে দেয়। এরপর সাইদুরের স্ত্রীর গায়ে কারেন্টের তার জড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। এখন অসহায় সাইদুরের ১২ সদস্যের পরিবার, অন্য মানুষের বারান্দায় জীবন যাপন করছেন। তার বসতবাড়ির জমি দখল করে প্রতিবেশীর লোকজন এখন শখের স্কুল ঘর বানিয়েছেন। বাড়ির মালিক হয়েও এখন ভিক্ষুক হয়ে অন্যের বারান্দায়। বসতভিটা হারা অসহায় সাইদুর এখন অর্ধহারে অনাহারে টানা পোড়নের মধ্যে দিয়ে ১২ সদস্য পরিবার নিয়ে অন্য মানুষের বাড়িতে রাত যাপন করছেন। নাই খাবার, নাই শীতের কোন পোষাক। ছন্নছড়া সাইদুর এখন রিক্স চালক ২ ছেলের উপর নির্ভরশীল। তাদের উপার্জিত অর্থ দিয়ে চলছে ১২ সদস্যের পরিবার।
এমন অবস্থায় প্রতিবেশীর লোকজন (অভিযুক্তরা) আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাইদুর রহমানের ছোট ছেলে শিমুলকে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে পাকুড়িয়া শহীদ বাজার এলাকায়। জীবন রক্ষার্থে পালিয়ে যায় বাড়ির দিকে। খবর পেয়ে সিমুলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে বড় ভাবী রেশমা ও ১৪ বছর বয়সী ভাতিজি শামলী। শিমুলকে না পেয়ে ভাবী ও ভাতিজিকে উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। বর্তমানে আহত দুইজনের অবস্থা আশাংখাজনক। রেশমার মাথায় ১৪-১৫ টি সেলাই। রক্ত বমি করতে দেখা গেছে। নিরুপায় অসহায় পরিবার, চিকিৎসা করার মত কোন টাকাও নেই।
এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।