
নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদী থেকে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বেলা ১২টার দিকে উপজেলার কালিকাপুর বাজার এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কালিকাপুর-দোসতিনা মৌজার আত্রাই নদীর তীরবর্তী কালিকাপুর বাজার সংলগ্ন খেয়াঘাট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পাঁচটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে ইজারাদারা। এতে করে কৃষি জমি বসত বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, কালিকাপুর বাজার সহ নদীর দুপাশের বেশ কিছু স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। যেকোন সময় ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দা জিল্লুর রহমান, শিবায়ন, আব্দুর রশিদ, প্রদীপ কুমার জানান, চার-পাঁচটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বাজারের নিচে চল্লিশ পঞ্চাশ ফিট গভীর থেকে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে এতে করে দুই পাশের বেশ কিছু স্থানে নদীর পাড় ভেঙ্গে গেছে। পাশাপাশি ম্যাট্রিসিনের নিচ থেকে গভীরভাবে বালি উত্তলনের ফলে যে কোন সময় হাট-বাজার বসতবাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাই আমরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আখতারুজ্জামান বুলু জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত এই কালিকাপুর-দোসতি মৌজা থেকে বাল উত্তোলন করেনি কেউ। এবছর ইজারাদারা নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া জানান, আত্রাই নদীর উজান অংশে ইজারা প্রদান করা হয়েছে। ইজারাদার স্বাভাবিক ভাবে বালু উত্তোলন করছে। কিন্তু বালু উত্তোলনের যে নিয়মকানুন রয়েছে তা প্রতিপালন করার কথা থাকলেও ইজারাদার অনেক ক্ষেত্রেই সে নিয়ম কানুন না মেনে বালু উত্তোলন করার চেষ্টা করে। এতে করে নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাটবাজার সরকারি বেসরকারি স্থাপনা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । এ বিষয়টি মাথায় রেখে ইজারাদারকে ইতিমধ্যেই নিয়ম মেনে বালু উত্তোলনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরেও যদি তারা নির্দেশনা না মানে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।