
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে “কক্সবাজার লবণ চাষী ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদ” সংবাদ সম্মেলনে বলেন, লবণ চাষীদের রক্ষায় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
লবণ চাষী সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ইন্ডাস্ট্রির লবণের চাহিদা নির্ধারণ করে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হোক। ইন্ডাস্ট্রির জন্য আমদানি করা লবণ যেন মানুষের খাবেরর লবণের সাথে মিশানো না হয়। আমদানির কথা বলে মিল মালিকরা চলতি মৌসুমে ৮০ কেজির বস্তা ১৪০০ টাকা থেকে দফায় দফায় কমিয়ে ৬৪০ টাকায় নামিয়ে এনেছে।
এখন মিল মালিকদের প্রতি কেজি লবণের ক্রয় মূল্য ৮ টাকা। অতীতে লবনের এতো দরপতন হয়নি। কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে প্রতি কেজি লবণে খরচ হয় ১৫ টাকা কিন্তু এখন বিক্রি করছে প্রতি কেজি ৫ টাকা ৫০ পয়সা, যা খুবই বেদনাদায়ক।
লিখিত বক্তব্যে কক্সবাজার লবণ চাষী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ জামিল ইব্রাহীম বলেন, মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম কম হলেও বাজারে প্যাকেটজাত লবণ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লবণ মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে দেশীয় লবণ শিল্পকে ধ্বংস করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবণের নাম দিয়ে লবণ আমদানির এলসি অনুমোদন করার পায়তারা করছে। যদি তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়, তাহলে বাংলাদেশের একমাত্র স্বনির্ভর লবণ শিল্প বিদেশীদের হাতে চলে যাবে।
আপনারা অবগত আছেন, কক্সবাজার জেলায় ৯৫ শতাংশ লবণ উৎপাদন হয়। আমরা লবণ উৎপাদন করে গতবছর দেশের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) -এর তথ্যসূত্র অনুযায়ী দেশে ২ লাখ ২২ হাজার মেট্রিকটন লবণ মজুদ আছে। এই বছর ৬৫ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ করা হচ্ছে। লবণ ব্যাবসা করে কক্সবাজারের ৬০ শতাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে।