
মূলত ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে গঠিত ব্রিকস দেশগুলো তাদের নিজ নিজ মুদ্রার সমর্থিত একটি নতুন রিজার্ভ মুদ্রা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছে।
যদি ব্রিকস দেশগুলো একটি নতুন রিজার্ভ মুদ্রা প্রতিষ্ঠা করে, তাহলে এটি সম্ভবত মার্কিন ডলারের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। ফলে ডলারের চাহিদা হ্রাস পাবে যাকে ডি-ডলারাইজেশন বলা হয় । এর সরাসরি প্রভাব পড়বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্ব অর্থনীতির উপর। চীনের ইউয়ান, রাশিয়ার রুবল, ব্রাজিলের রিয়াল, ভারতের রুপি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার র্যান্ড এই হচ্ছে ব্রিকস সদস্য দেশগুলোর মুদ্রা।
এই দেশগুলো মার্কিন ডলার থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্য নতুন মুদ্রা ব্যবস্থায় আগ্রহী। আর এখানেই আপত্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন ব্রিকস দেশগুলো যদি নিজেদের নতুন মুদ্রা ব্যবস্থায় বাণিজ্য শুরু করে তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রবল আর্থিক চাপ সৃষ্টি করবে ব্রিকস এর সদস্য দেশগুলোর ওপর।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরে এসেছেন। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতির অন্যতম বৈশ্বিক প্রতিপক্ষের তুলনায় ডলারের মূল্য বৃদ্ধি।
ব্রিকস দেশগুলো মার্কিন ডলার এবং ইউরোর উপর বিশ্বব্যাপী নির্ভরতা কমিয়ে তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক স্বার্থ আরও ভালভাবে পূরণ করতে আগ্রহী |
ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ব্রিকস দেশগুলোর প্রতি আরও সরাসরি হুমকি পোস্ট করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ” ব্রিকস এর সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে একটি প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন যে তারা কোনো নতুন ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করবে না বা শক্তিশালী মার্কিন ডলার প্রতিস্থাপনের জন্য অন্য কোনো মুদ্রা সমর্থন করবে না, অন্যথায় তাদের ১০০% শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে।
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের মতে, ১৯৯৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে, আমেরিকায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চালানের ৯৬ শতাংশ, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৭৪ শতাংশ এবং বিশ্বের বাকি অংশে ৭৯ শতাংশ ডলার ব্যবহৃত হয়েছে। এমতাবস্থায় ব্রিকসের নতুন মুদ্রা কীভাবে বাণিজ্য করবে নিজেদের মধ্যে সেই নিয়েই প্রশ্ন সদস্য দেশগুলোর।