উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ঢাবি ছাত্রশিবিরের প্রতিক্রিয়া

সম্প্রতি উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাকে ‘উগ্রবাদী মবস্টারদের’ উত্থানের জন্য দায়ী করেছেন। তার সেই পোস্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাবি ছাত্রশিবির বলছে তার মন্তব্য ‘ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি এসএম ফরহাদ ও সেক্রেটারি মহিউদ্দীন খানের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসলামী ছাত্রশিবির একটি আদর্শিক ছাত্র সংগঠন, যা সবসময় নৈতিকতা, জ্ঞান ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির পরিকল্পনা, রাজপথের আন্দোলন ব্যবস্থাপনাসহ সব বিষয়ে সংযুক্ত থাকার প্রমাণ দুনিয়াব্যাপী সমাদৃত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের মধ্যদিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করেছে। পাশাপাশি সাংগঠনিক পরিসরে শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে ছাত্রশিবির তার জনশক্তি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্র পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগে উৎসাহিত করেছে।’

তারা আরও বলেন ‘মাহফুজ আলমের মতো একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে দায় চাপানো ও বিভাজনের ফ্যাসিবাদী রাজনীতির পুনরুত্থান চায় না ছাত্রসমাজ। রাষ্ট্র সংস্কারের এই মোক্ষম সময়ে সরকারের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছে একটা নির্দিষ্ট ছাত্রসংগঠনকে টার্গেট করে এমন উদ্ভট, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিভাজনকে বৃদ্ধি করবে।’

নেতারা বলেন, ‘মাহফুজ আলমের এ ধরনের বক্তব্য ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে সরকারের পারস্পরিক সহনশীলতা ও শ্রদ্ধাবোধ কমাবে, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে। যা একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একই সঙ্গে এই মন্তব্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার সময় তার নেওয়া শপথের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

তারা বলেন, ‘মাহফুজ আলম যেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরকে টার্গেট করে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি তার অদূরদর্শী রাজনৈতিক বোঝাপড়া ও ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। আমরা আশা করব, মাহফুজ আলম তার এই ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন। আমরা চাই, হাসিনা পরবর্তী ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে রাগ, ক্ষোভ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি আর ফিরে না আসুক।’