বিএনপি নেতা টিপুর ওপর হামলার প্রতিবাদ ও শাস্তি দাবি; মতিন চৌধুরীকে গ্রেফতারের দাবি

আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল মতিন চৌধুরী এবং তার দুই ছেলেসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন মিলে গত বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতা ও সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি টিপু সুলতানের উপর রক্তাক্ত হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে ২নং রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের বিএনপির ও বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠন।

টিপু সুলতান চার দিন চাটখিল সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আজ মল্লিকাদীঘিরপাড় মাদ্রাসার সামনে গেলে বিএনপির সকল নেতা-কর্মীরা টিপুর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়ে সুস্থতা কামনা করেন। নেতা-কর্মীরা এই নৃশংস হামলার জন্য দায়ী ছোবহানপুরের আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন চৌধুরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন, দ্রুত আওয়ামী এই সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়। 

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সাবেক ইউনিয়ন সেক্রেটারি ও বর্তমানে চাটখিল উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলী ভুট্ট বলেন, আব্দুল মতিন চৌধুরী এবং তার ছেলে সোহাগ ও বাবরসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন আমাদের দলীয় নেতা টিপু সুলতানের ওপর অতর্কিত হামলা করে। টিপুকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে টিপুর ভাইকেও রক্তাক্ত করে। 

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন,  আবদুল মতিন ৫ আগস্টের পর ঢাকা পালিয়ে গিয়েছিলো কিন্তু এখন তার ছেলেরা স্থানীয় দুই-চার জন নেতাকে ম্যানেজ করে এলাকায় নিয়ে এসেছে। এসেই আবদুল মতিন আগের মতোন বাহিনী নিয়ে চলাফেরা শুরু করে। টিপু সুলতান আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে, এইজন্য আবদুল মতিন ও তাঁর বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে টিপুর ওপর হামলা করে। এই ঘটনায় চাটখিল থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই আওয়ামী লীগের আবদুল মতিন চৌধুরী গত ২০২৪ সালে নির্বাচনের সময়ে আমাকে ছোবহানপুর বাজারে রক্তাক্ত করেছে। আমাদের যুবদলের রুবেলকে এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে, ছোবহানপুর মিজি বাড়ির স্বপনকে মেরেছে এবং আরও বহু নেতাকর্মীদের পিটিয়েছে, নির্যাতন করেছে, চাঁদাবাজি করেছে। ছোবহানপুর বড় মিজিবাড়ির যুবদলের নেতা জাহাঙ্গীরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ৬ মাস জেলে রেখেছে। 

আরও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট হানিফ, বিএনপি নেতা দেলোয়ার, বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম, আয়াতুল্লাহ বিএসসি, ধর্মপুরের মামুন, বকুন্ডপুরের ছাত্রনেতা মোরশেদ প্রমুখ।