গত সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী সদস্য মো. খাইরুল ইসলামের ছেলে মোরসালিন ইসলাম সৌরদীপের ইউনিয়ন ব্যাংকে একটি বিও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। অ্যাকাউন্টটিতে ৫৪ কোটি ৮৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা রয়েছে।
বিগত ১৫ বছরে বহু সরকারি কর্মকর্তা অনিয়মের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলো। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দুদক।
আজ দুদকের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার এসব সম্পদ ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, মো. খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া সস্পত্তি জামানত হিসেবে মর্টগেজ দিয়ে বেসিক ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখা থেকে ১০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, খাইরুল ইসলাম তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একাত্ম সচিব-১ হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধমূলক অসদাচারণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি সার্কুলার অনুসারে প্রতিজন ঋণগ্রহীতাকে গৃহঋণ বাবদ সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার বিধান থাকলেও নিজের নাবালক দুই সন্তান রওশন শিপারিন মেঘমালা ও মোরসালিন ইসলাম সৌরদীপের প্রত্যেকের নামে দুই কোটি টাকা করে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারণে মোরসালিন ইসলাম সৌরদীপের শেয়ারগুলো জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ করা দরকার।
এই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক এসব শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন।